ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

আমজাদ খান চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৮, ৮ জুলাই ২০২০

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের এই পথিকৃতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গ্রুপের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে কারখানা ও স্থাপনাগুলোয় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। 

গ্রুপের জনসংযোগ বিভাগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।

আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৩৯ সালের ১০ নভেম্বর নাটোরের সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম আলী কাশেম খান চৌধুরী ও মা মরহুমা আমাতুর রহমান। তার চার সন্তানের মধ্যে আহসান খান চৌধুরী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও এবং উজমা চৌধুরী পরিচালক (করপোরেট ফিন্যান্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আমজাদ খান চৌধুরীর শিক্ষাজীবন শুরু ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউটে। ১৯৫৬ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। পরে অস্ট্রেলিয়ান স্টাফ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেলসহ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৮১ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন এবং উদ্যোক্তা হিসেবে নতুন কর্মজীবন শুরু করেন। রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আরএফএল) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের যাত্রা শুরু করেন তিনি। দেশে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের প্রসারের পেছনে তার অবদান সর্বাধিক। কৃষিভিত্তিক শিল্পের পাশাপাশি রিয়েল এস্টেট, খাদ্য, প্লাস্টিক, হালকা প্রকৌশল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্সসহ নানা খাতে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তার গড়া প্রাণ-আরএফএল বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় খাদ্য ও প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি ছিলেন। তিনি আবাসন খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন রিহ্যাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ কৃষি প্রক্রিয়াজাতকারী সমিতির (বাপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও তিনি। বঞ্চিত শিশুদের প্রতিষ্ঠান ইউসেপের সভাপতি ছিলেন তিনি।

২০১৫ সালের ৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় ডিউক মেডিকেল হাসপাতালে ৭৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন এই শিল্পোদ্যোক্তা। 
এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি